দেশীয় গার্মেন্টস শিল্পের অবস্থা আজ দেশে এবং বিশ্বে স্বীকৃত। এখানে রয়েছে
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের কাজের সুযোগ। তৈরি পোশাক শিল্পের অর্থাৎ
গার্মেন্টস ইন্ডাসট্রির পেছনে রয়েছে আরও অনেক শিল্প যা এ শিল্পের
উপকরন যোগায়। পোশাক শিল্প চলে কিছু ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায়। এ শিল্পে প্রথম
তৈরি হয় সুতা, তারপর কাপড়(ফেব্রিক), পরে ডাইং, ফিনিশিং হয়ে আসে গার্মেন্টস
এ। এ সবগুলো প্রক্রিয়ার জন্য রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন শিল্পকারখানা। যেমন সুতা
তৈরির মিল হল স্পিনিং মিল, কাপড় তৈরির মিল হল নিটিং ও উইভিং মিল, ফিনিশিং ও
কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট এর জন্য ডাইং মিল। এগুলো হল টেক্সটাইল
ইঞ্জিনিয়ার নিয়ন্ত্রিত শিল্প। তাছাড়া রয়েছে ফ্যাশান হাউস, বাইং হাউস,
বিভিন্ন মার্কেটিং প্রুপ। মার্কেটিং গ্রুপ গুলোর মধ্যে বিভিন্ন টেক্সটাইল
কেমিক্যাল এর ব্যাবসা অন্যতম। এক সময় ফ্যাশন ডিজাইন ও ফ্যাশন ব্র্যান্ড
বাংলাদেশের জন্য খুব পরিচিত ছিল না। কিন্তু এখন এ দেশেও গ্লোবাল ব্র্যান্ড
তৈরি হচ্ছে। ইয়োলোর মত ব্র্যান্ড আমাদের তৈরি হয়েছে। এ ছাড়াও অনেক
ব্র্যান্ড আছে, যেমন- আড়ং, রঙ, সাদাকালোর মত ব্র্যান্ড আছে। এগুলো দেশীয়
বাজারে মান সম্পন্ন পোশাক সরবরাহ করে আসছে। যার মান ,আমি বলতে পারি,
আন্তর্জাতিক যে কোন বাজারের চেয়ে ভাল। টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য এগুলো
হল কাজের বড় ক্ষেত্র। এ শিল্পকারখানা গুলোতে তারা প্রোডাকশন অফিসার হিসেবে
যোগ দিতে পারে। আবার মার্কেটিং ও মানেজমেন্ট সেক্টরেও যোগ দিতে পারে।
বর্তমানে এ দেশে প্রায় ছয় হাজার টেক্সটাইল মিল আছে। যার মধ্যে প্রায় তিন হাজার টি গার্মেন্টস। এ বছর এ খাত থেকে বৈদেশিক আয় ২৬ মিলিয়ন ডলার এবং বর্তমান পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী ২০২০ সাল নাগাদ তা বেড়ে ৫০ মিলিয়ন ডলারে উন্নিত হবে। বর্তমানে জি ডি পি তে এ খাতের অবদান ১৩%। এ সেক্টর ক্রমশ বাড়ছে, বলা যায় ২০২০ সালে প্রায় দিগুন হবে। এতে কর্ম ক্ষেত্রও বেড়ে যাবে। অনেক বড় একটি কর্ম ময়দান নিয়ে বশে আছে বাংলাদেশ বস্ত্র খাত, এখন শুধু আরও নতুনদের আসার পালা ।
বর্তমানে এ দেশে প্রায় ছয় হাজার টেক্সটাইল মিল আছে। যার মধ্যে প্রায় তিন হাজার টি গার্মেন্টস। এ বছর এ খাত থেকে বৈদেশিক আয় ২৬ মিলিয়ন ডলার এবং বর্তমান পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী ২০২০ সাল নাগাদ তা বেড়ে ৫০ মিলিয়ন ডলারে উন্নিত হবে। বর্তমানে জি ডি পি তে এ খাতের অবদান ১৩%। এ সেক্টর ক্রমশ বাড়ছে, বলা যায় ২০২০ সালে প্রায় দিগুন হবে। এতে কর্ম ক্ষেত্রও বেড়ে যাবে। অনেক বড় একটি কর্ম ময়দান নিয়ে বশে আছে বাংলাদেশ বস্ত্র খাত, এখন শুধু আরও নতুনদের আসার পালা ।
0 comments:
Post a Comment
Your comments will be warmly appreciated. Please comment us